Posts

Showing posts from 2017

বাবা ছেলের ভালোবাসা

"বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো"। বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) "একটা গল্প শুনবি?" ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো- "বলো বাবা শুনবো......" তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখোনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর 'মা কে 'সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো। সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মা কেও না। একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও ...

হেমন্ত

Image
উত্তুরে বাতাস, তার আগমনের বার্তা পাঠিয়ে দিলো হেমন্তে, সকালে হিমের চাদর জড়িয়ে কুয়াশা নেমে আসে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তে, জলাভূমি ঘিরে থাকে ঘন কুয়াশার জাল,  দেখে যেন মনে হয়,এখনও হয়নি সকাল! সূর্যটা ঝুঁকে গেছে ঈষৎ দক্ষিণে হয়ে ম্রিয়মান, সোনালী রোদ্দুর হল দেখ কেমন বিবর্ণ আর ম্লান! চোখে মুখে আমাদের ধূসর ধুলোর প্রলেপ! যদিও এখনও নামেনি কারও ঘরে বিছানায় কম্বল লেপ! পরিযায়ী পাখিরা শীতের আগমনী পেয়ে আসছে ভেসে, নবান্নের পায়েস হবে এবার তাজা খেজুরের রসে, রসেবসে হেমন্তে ভাপা পিঠে পুলি মায়ের হাতের তৈরী,  ভাল লাগবে তো সবারই! ওদিকে যুদ্ধবাজ ট্র্যাম্প, কোরিয়ার কিমকে শাসাতে পাঠিয়েছে রণতরী৷ আসলে দ্বিবিধ লক্ষ তাঁর কিমের সঙ্গে চীনকে চমকানো, ট্র্যাম্পের সাথে জুটি বেঁধেছে ভারত জাপানও, দাঙ্গাবাজ ন মো কমই বা কিসে, যুদ্ধবাজ ট্র্যাম্পের সাথে গিয়েছে মিশে! এই হেমন্ত নিয়ে আসে বাংলায় সুখ আর শান্তির দিন, চাষীদের ঘরে ঘরে নেমে আসে সাময়িক সুদিন! অথচ যুদ্ধবাজদের রণতরীর মহড়ায়, বিমর্ষ হয়ে আছি সম্ভাব্য বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কায়৷

~~~~বাস্তব নীতি~~~~

                        ॥ কবিতা॥                          বাস্তব নীতি মন আকাশে জাগলো যে সত্যের ছাঁপ, শান্তি পুরে শান্তি নেই আছে কষ্ট হাট, সোনা পুরে সোনা নেই আছে মিথ্যা ঝাপ। মরু নদে নৌকা নেই, নাম আছে ঘাট। নামায রোজায় শুন্য নাম যে ঈমাম, নাম যে তার আক্কেল বে-আক্কেল গুড়ি, কোন জনম কোথাও পায়না সালাম। পরের মাল খেয়ে সে যে বাড়ায় ভুড়ি। ডোবেনা ঘোটি মগ, নাম বড় পুকুর, দিলে পোষে শয়তান মুখে খোদা ভীতি, জিহাদে নেই মন করে শুধু হুকুর। স্বার্থের টান পেলে ভোলে জাহির গীতি। রাজা-রানী সাঁজে তব ফকিরের নাতি, জাহেলিয়াত কালের এই হলো নীতি।

রামের জন্ম অযোধ্যায়, যেমন মত হিন্দুদের, তেমনই তিন তালাক মুসলিমদের বিশ্বাসের ব্যাপার, সুপ্রিম কোর্টে পার্সনাল ল বোর্ড

Image
  তিন তালাকের সমর্থনে মুখ খুলে অযোধ্যায় রামের জন্মের প্রসঙ্গ তুলল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চে বোর্ডের হয়ে সওয়াল করতে উঠে নামী আইনজীবী কপিল সিব্বল মঙ্গলবার বোঝাতে চান, হিন্দুরা যেমন অযোধ্যায় রামের জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করেন, তেমনই মুসলিমরাও একই ভাবে তিন তালাক মানেন। হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা না গেলে মুসলিমদের তিন তালাকে আস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে না। তিনি বলেন, ৬৩৭ সাল থেকে তিন তালাক চালু রয়েছে। আমরা বলার কে, যে এটা অ-ইসলামিয়, অসাংবিধানিক! গত ১৪০০ বছর ধরে তিন তালাক প্রথা মানছেন মুসলিমরা। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। সুতরাং এর মধ্যে সাংবিধানিক নৈতিকতা, সমতার প্রশ্নই ওঠে না। ইউপিএ জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও বলেন, আমি যদি এটা বিশ্বাস করি যে, রাম অযোধ্যায় জন্মেছিলেন, তাহলে সেটা নিছকই বিশ্বাসের ব্যাপার। তার মধ্যে সাংবিধানিক বৈধতা, যৌক্তিকতার প্রশ্নই নেই। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন সংবিধান বেঞ্চে সিবাল উল্লেখ করেন, তিন তালাকের উত্স খুঁজে পাওয়া যাবে হাদিসে, পয়গম্বর মহম্মদের আমলের পর থেকে তার সূচনা। তিন তালাক, ...

পর্দা করার পরেও কেন মেয়েরা বার বার ধর্ষিতা হয় ????

Image
বর্তমানে ডিজিটাল যুগের কিছু মেয়েদের স্বভাব কুকুরের মত হয়ে গেছে, আল্লাহতা'আলা কুকুরকে লেজ দিয়েছে তার লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার জন্য কিন্তু কুকুর লেজ দিয়ে তার লজ্জাস্থান না ঢেকে লেজকে উচু করে রেখে অন্য কুকুর কে তার প্রতি আকৃষ্ট করে । তেমনি আল্লাহ তা'আলা মেয়েদের উপর পর্দার বিধান নাযিল করেছেন, কিন্তু ডিজিটাল যুগের কিছু নির্লজ্জা মেয়ে সেই পর্দার বিধান কে অমান্য করে ছেলেদের কে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য স র্ট/ টাইট/ফিটিং জামা পড়ে রাস্তায় বের হয়, কিছু দিন পর ধর্ষনের শিকার হয়। আবার কিছু কিছু কুকুর স্বভাবের মেয়ে এরা আবার ডিস্কো পর্দা করে ফিট - ফাট, বডি ফিটিং বোরকা পড়ে নিজের ধুমসো পাছাকে নাড়াতে নাড়াতে সবার সামনে দিয়ে হাটে,অতপর ধর্ষণ হয়ে বাড়ি আসে.......... অতঃপর আঙ্গুল তুলে প্রশাসনের উপর, আমি বলবোঃ প্রশাসন কি সারা দিন পিছু পিছু ঘুরে আপনার দেহরক্ষা করবে? আপনার দেহের রক্ষা আপনার নিজেরই করতে হবে, আর সেটা পর্দার দ্বারাই সম্ভবপর হবে ।সুতরাং ধর্ষিত হতে না চাইলে এখন থেকেই পর্দা করুন,পর্দা করা নারীর উপর ফরজ ।। এখন বলতে পারেন ......... খাস পর্দা (ইসলামী সহি পর্দা) করার পরেও কিছু কুলাঙ্গরের দ্বার...

ভারতের মহিশুরের বীর শাসনকর্তা ★★টিপু সুলতান★★ সম্পর্কে কিছু আশ্চর্য বিস্ময়কর তথ্য

Image
টিপু সুলতানের জন্ম ২০ নভেম্বর '১৭৫০ এবং মৃত্যু ৪ মে '১৭৯৯। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা। তিনি একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে তিনি বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করেন। তিনি তাঁর শৌর্যবীর্যের কারণে শের-ই-মহীশূর (মহীশূরের বাঘ) নামে পরিচিত ছিলেন। দক্ষিণ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসক টিপু সুলতানের পিতা হায়দার আলী মহীশূর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন৷ শ্রীরঙ্গপত্তনম গ্রামে কাবেরী নদীর একটি ব-দ্বীপে নির্মিত একটি দূর্গ থেকে রাজ্য শাসন করতেন৷ বর্তমানে শ ্রীরঙ্গপত্তনম গ্রাম দক্ষিণ ভারতের কর্ণটক রাজ্যের মান্ডিয়া জেলার অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে যুদ্ধে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে নিহত হন। টিপুর এক সেনাপতি মীর সাদিক বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মেলান৷ পরে তার পরিবারের মানুষজনকে ভেলোরের দূর্গে বন্দী করে রাখে ব্রিটিশ শাসকরা৷ শের-ই-মহীশূর টিপু সুলতানকে ডাকা হতো শের-ই-মহীশূর; উপাধিটা ইংরেজদেরই দেয়া। তাঁর এই বাঘ (শের) হয়ে ওঠার পিছনে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কিত ছিলো। মূল কারণ ছিলো তাঁর অসাধারণ ক্ষীপ্রতা, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা আর কৌশলপূর্ণ রাজ্য পরিচালনা। ...

"ভালোবাসার মানুষগুলতো ত্রমন হবা চাই"

Image
এমন একটা ছেলে জন্য অপেক্ষা করুণ যে আপনাকে Hot না বলে বলবে Beautiful । যে আপনার ঘুমন্ত মুখটা দেখার জন্য রাত জাগবে । এমন একটা ছেলেকে ভালোবাসুন যে আপনার ঠোঁটে নয় কপালে Kiss দিবে । যেই ছেলে তার বন্ধুদের সামনে আপনার কোমরে না ধরে হাত ধরে রাখবে । যে সর্বদা নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবে আপনার মত মেয়ে পেয়ে । তার জন্যই অপেক্ষা করুণ যে তার বন্ধুদের আপনার ছবি দেখিয়ে বলবে এই দেখ এইটা আমার রাজকন্যা 

ধর্ম এবং আরাধনা

Image
আমার উপাসনা বা আরাধনার জন্যে নতুন কোনো কাজ আমাকে খুঁজতে হয় না। আমার পরিবেশে অন্যেরা যে কাজগুলো উদ্দেশ্যহীনভাবে না-বুঝেই করে অবহেলায়, সেই কাজগুলোই থাকে আমার দাসত্বের দায়িত্ব পালনে, কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে যেগুলো করার চেষ্টা আমি চালিয়ে যাই সাধ্যমতো। কোনো দাসত্ব, আরাধনা বা উপাসনা নেই যেই বস্তুটির, সেই বস্তুটিও কিছু  ধর্মধারী। কোনো চেষ্টা না-চালিয়ে স্রোতের সাথে উদ্দেশ্যহীন ভেসে চলার ধর্মটি বস্তুর ভাসমানতা, যেটা কোনো দাসত্ব বা আরাধনা নয়। সহজবোধ্য উদাহরণে, প্রবহমান জলের সাথে ভেসে যেতে যেতে স্রোতের দিকে অথবা স্রোতের বিপরীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাঁতরানোটাই আরাধনা, উপাসনা বা দাসত্ব।কাজের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যটা মন্দ হলে, সেটা হবে শয়তানের উপাসনা।ভালো কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে যা’ কিছুই করা হয়, সকল ভালোই ঈশ্বরের দিকে যায়।

এ কেমন তুমি "মায়াবিনী"

Image
*কবি নদীকে বললেন, তুমি নারীর মতো।* *সুন্দর কিন্তু অস্থির, কোমল অথচ স্বেচ্ছাচারী।* *প্রতিটি বাঁকের ভাঁজে মুগ্ধ করো। আসলে কোন কুল ভাঙো কোন কুল গড়ো?* *তোমার মন নেই?* *দুঃখ পাও না কখনো?* *নদীর জলে কলকল করে একটা আওয়াজ হল।* *একটা ঠান্ডা মসৃণ বাতাস কবিকে ছুঁয়ে গেল।* *নদী জিজ্ঞেস করল, ভালো লাগল?* *কবি অবশভাবে বললেন, হ‍‍্যাঁ।* *নদী বলল, কেন জানো?* *কবি বললেন, নাঃ, শুধু জানি তুমি মায়াবিনী।* *নদী বাতাসের মত গলায় বলল, ঠিক বলেছ। আমি মায়াবিনী, আমি স্বেচ্ছাচারী, আমি অস্থিরা। তাই হে পুরুষ, আমার একটু স্পর্শে তোমার ভালো লাগে।* *তাই আমার একটু হাসি তুমি খুঁজে বেড়াও।* *তারপর বাঁধতে চাও।* *কখনো শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে নৈতিকতার বাঁধ তুলে, কখনো ইঁটের উপর ইঁট তুলে পাথরের বাঁধ তুলে।* *তারপর....* *কবি নিঃশ্বাস বন্ধ করে জিজ্ঞেস করলেন, তারপর?* *নদীর উপরে খেলা করা বাতাস যেন বিষন্ন সুরে বলে উঠল, তারপর তোমার বন্ধনে নদী মরে যায়।* *পুকুরে পরিণত করে নিজেকে। আর তোমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেল।* *দুরন্ত স্রোতস্বিনী স্বেচ্ছাচারিনী, অস্থিরা, মায়াবিনী, কিন্তু হে পুরুষ, তোমাকে কি তা...

একজন নারীর বেষ্ট ফ্রেন্ড কে? জানেন??? না জানলে সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল.......................

Image
সাইকোলজির টিচার ক্লাশে ঢুকেই বললেন- আজ পড়াবো না। সবাই খুশি। টিচার ক্লাশের মাঝে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলেন। বাইরে বৃষ্টি, বেশ গল্পগুজব করার মত একটা পরিবেশ। ষ্টুডেন্ডদের মনেও পড়াশুনার কোন প্রেশার নেই। . টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন– জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে? মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল- জ্বী স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে। টিচার চট করে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন- আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো। এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন – মা আজকে তুমিই টিচার। এই নাও চক, ডাষ্টার। যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো।মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখলো। টিচার বললেন – এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা এদের পরিচয় লেখলো। সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার এবার বললেন – লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও। মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো। . টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন। আরো তিন জনের নাম মুছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ...

সুর

Image
নিভিয়ে দিও অন্ধ জ্যোতির মিছে প্রকাশ; তোমারই আলোর কিরণে ভাসিয়ে, হৃদয় আমার ভরিয়ে দিও প্রেমেরই সলিলে, ভরা শ্রাবণের সিক্ত ফোটাতে, পাপে তাপে গেছে সব সবুজ পুড়ে; ধূসর ছাইয়ে ভিতরে বাহিরে দিনে রাতে, তবু আছে বাকি; শেষ আশাটি লুকিয়ে কোথায়, এসেছি তোমারই দুয়ারে ঘুরে। যেন তুমি দাঁড়িয়ে আছ আমারই পথে পথ চেয়ে; প্রতীক্ষায় আনন্দ রোদনে, তবু কেন শংকা আসে; কাঁপে এ মন শূন্যতারই অসীম যাতনায় সংসার ঘাটে? সুরেরই সেই রাগিণীটি বাজিয়ে দাও বাতাসেতে, তোমারই বেণুতে তরঙ্গে তরঙ্গে, সকল তাপের পরম স্নানে আমায় ধুইয়ে সুধা অমৃতে, তোমারই করে; আলিঙ্গনে। যে জ্যোতিতে চেয়েছি প্রকাশ জীবন ধরে নীরবেতে, দরাদরির কালো ব্যাপারে, নিভে গেল কেন হঠাৎ কোন্ সে প্রভার পরম চমকে, জাগাতে আমায় ঘুম হতে, যেন জাগি সেই ভোরেতে সবুজের আলো মেখে; নতুন শাখে হারানো কাননে, কতদিন ফুটেনি কুসুম প্রেমেরই দলে; হৃদয়কমলে অর্ঘ্য হয়ে তোমায় নিবেদনে! যেন নদীর কূল ভাঙে যুগের শেষে বরিষণে, তোমারই অসীমে মিশতে সাগরে, তারের ঐ শেষ রাগিণী যেন বাজে দিনে রাতে, এমন তরঙ্গে সুর সাজিয়ে অসুর বিনাশে।

প্রীতির রীতি এমন

Image
এ কেমন রঙ্গ দুনিয়ায় ---- ভালোবাসার রীতি এমন এতো যে বলি ফুরায় না তা কথার রেশ রয়ে যায় সকল কথার শেষ , ভালোবাসার রীতি এমন সকল পেয়েও হয় না পাওয়া শুধু তারে বারে বারে চাওয়া । এ কেমন রঙ্গ দুনিয়ায় -- কাছে এলে এতো যে লাগে ভালো দূরে গেলে কাঁদে এ মন আসল কথাটি হয়না যে শেষ এ কেমন রঙ্গ দুনিয়ায়।।

মায়াবি

Image
এ তুমি কেমন তুমি, চোখের তারায় আয়না ধর৷ এ কেমন কান্না, তুমি আমায় যখন আদর কর৷ জন্মের আগেও জন্ম পরেও জন্ম তুমি এমন....... সুরের ও গভীর সুরে পদাবলীর ধরন যেমন কথা নয় নিরবতায় সজলতার আখর ভর..... এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধর..... এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর এসেছি আগেও আমি য খন তুমি পদ্মাবতী কবেকার পুঁথির শোলোক তোমার মতই অশ্রুমতী অশ্রুর একটি ফোঁটায় জন্ম আমার আমার মরন......... নীরবে জাতিস্মরের গল্প বলাই আমার ধরন ঝরেছ বৃষ্টি হয়ে আগেও তুমি আবার ঝর এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর৷

মা যাচ্ছেন কবরে, স্বজনহারা শিশুটি এখন যাবে কোথায়?

Image
অসুস্থ মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে এসেছিল তিন বছরের শিশুকন্যা মাইশা। হাসপাতালে আসার তিন ঘণ্টার মধ্যেই মা মারা যান। অভিভাবকহীন শিশুটি এখন কোথায় যাবে, সেটি জানে না কেউ। দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শিশুটির মাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। তখন মায়ের সঙ্গে ওই শিশুটি ছাড়া কেউ ছিল না। তাঁকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত নয়টার দিকে মারা যান তিনি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের খাতায় শিশুটির মায়ের নাম সখিনা বেগম, বয়স ৩০, স্বামী এস এম সোহাগ, বন্দর থানা, জেলা নারায়ণগঞ্জ লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। তবে কোনো ফোন নম্বর না থাকায় জানার উপায় নেই ওই ঠিকানা ঠিক কি না। শিশু মাইশা এখন হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্মরত জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স সাজেদা বেগমের কাছে আছে। সাজেদা জানান, মাইশার মা এক মাস আগে এ হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন ওই মা জানিয়েছিলেন, তিনি স্বামী-স্বজন ছাড়া শুধু শিশুটিকে নিয়ে থাকেন। ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন তিনি। হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা জানান, ‘ওই র...

বাণিজ্য-বিকৃত ইতিহাসের বিভ্রান্তি এড়াতে চাইলে

Image
এমনও হ’তে পারে, এদেশের জনসাধারণ হয়তোবা তখন ভেবেছিল- হাতেগোণা কয়েকটা পরিবার এবং কিছু দলোগণের খপ্পর থেকে দখলমুক্ত ক’রে নিতে পারলেই,- সম্পদে ভরপুর ইতিহাসে ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ এই দেশে,- সকলে মিলে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে সচ্ছলতার মধ্যে থাকতে পারবে, -আর তাই,- নিজেদের মধ্যেকার জ্ঞাতিহিংসা এবং পরশ্রীকাতরতাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রেখে,- তারা প্রাণপণে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল? মুক্তিযুদ্ধের কোনো বিকৃত বাণিজ্যিক ইতিহাস প’ড়ে প’ড়ে কিম্বা কাল্পনিক নাটকগুলো দেখে দেখে বিভ্রান্তিতে না-ভুগে, বরং, -আজও,- দু’হাজার পনেরোতে,- ভুয়ো সনদপত্র নেয়নি জন্যে যারা অবহেলিত, উনষাটোর্ধ বয়স্করা তো অনেকেই বেঁচে আছে,- পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় খুঁজলে এদেশের সবখানে এখনো তাদেরকে নাগালের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে, যাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই জেনে নিয়ে, বর্তমানের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে, দেখা যেতে পারে। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার ভিডিও-চিত্রগুলো, যে-কেউ চাইলেই, আগামীর প্রয়োজনে নিজস্ব সংগ্রহেও রেখে দিতে পারে।

পৃথিবীতে প্রতিটা মূহুর্তে কেউ না কেউ কারো না কারো জন্য অপেক্ষা করে

Image
"পৃথিবীতে প্রতিটা মূহুর্তে কেউ না কেউ কারো না কারো জন্য অপেক্ষা করে ... কেউ বৃষ্টির জন্য ... কেউ খাবারের জন্য ... কেউ প্রিয় মানুষটার জন্য ... কেউ রিকশার জন্য ... কেউ এক গ্লাস পানির জন্য ... কেউ ছোট্ট একটা মেসেজের জন্য কিংবা কারো একটা ফোন কলের জন্য অথবা এক মূহুর্তের জন্য কারো কন্ঠ শোনার জন্য !! সব অপেক্ষার শেষটা মধুর হয় না ... কখনো কখনো বৃষ্টি নামে ... কখনো কখনো মেঘগুলো ভীষণ ধোঁকা দিয়ে যায় ... বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে ... পশ্চিমের আকাশে সূর্যটা টুপ করে ডুবে যায় ... কেউ কেউ তখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে ... হয়তো আসবে - এই আশায় !! এক সময় মাথার ওপরে একটা বিশাল চাঁদ ওঠে ... চাঁদের রূপালি আলো ঐ মানুষটার মুখের উপর এসে পড়ে ...   ক্লান্ত মানুষটা অপেক্ষা করতে করতে তখন ঘুমিয়ে পড়েছে !! তার অপেক্ষা কিন্তু শেষ হয় নি ...   এবার সে চোখ বুজে অপেক্ষা করছে ...   হয়তো সে স্বপ্নে আসবে ...   হয়তো !!"